অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হওয়ায় অসুস্থ কমপক্ষে ২৫ জন
নিজস্ব প্রতিবেদন, অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করার ফলে হঠাৎ বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। কমপক্ষে ২৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিত্তুরের বন্দাপল্লি গ্রামে একটি ডেয়ারি প্ল্যান্ট থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে।তার জেরে এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। ওই জায়গার স্থানীয় বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। পরিস্থিতি বেশ সংকটজনক হয়ে ওঠে। আতঙ্কের সৃষ্টি হয় স্থানীয়দের মনে।
সংশ্লিষ্ট ডেয়ারির মালিকানা চেন্নাইয়ের এক কোম্পানির। তামিলনাড়ুতে এই কোম্পানির দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। চিত্তুরের জেলা কালেক্টর নারায়ণ ভারত গুপ্তা জানিয়েছেন, পুটালাপাত্তুর কাছে হ্যাটসন কোম্পানির একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ওই প্ল্যান্ট থেকেই অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে। হাসপাতালে ভরতি থাকা সকলেই ওই সংস্থার কর্মী। তিন জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার অর্থাৎ আজ সকালে তাঁদের তিরুপতির SVIMS বা রুইয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কালেক্টরের দাবি, বর্তমানে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে, বেসরকারি সূত্রে দাবি করা হয়, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৫ জন। অসুস্থ কর্মীদের সকলেই মহিলা। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার জন্য দায়ী ওখানকার কর্মীরাই। ওই দুগ্ধ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। গ্যাস লিকেজের খবর শুনেই চিত্তুরের কালেক্টরকে রাতে ফোন করেন মন্ত্রী পেড্ডিরেড্ডি রামচন্দ্র রেড্ডি। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা কর্মীদের চিকিত্সায় যাতে ত্রুটি না-থাকে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন মন্ত্রী।
এর আগে আগে জুন মাসেও গ্যাস লোকের একটি ঘটনা ঘটে। অন্ধ্রপ্রদেশের কর্নুল জেলার এসপিওয়াই অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তাছাড়াও, এর দু’দিন পরে, অন্ধ্রপ্রদেশের জওহরলাল নেহরু ফার্মা সিটি, সানর লাইফ সায়েন্সেস-এ আরও একটি গ্যাস লিকের ঘটনার খবর সামনে আসে। ফার্মাসিউটিকাল ফার্মে গ্যাস লিকের ঘটনায় কমপক্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, মে মাসে অন্ধ্রে আরও একটি গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটে। ভাইজাকের গ্যাস দুর্ঘটনায় কারখানার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা গ্রামের বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্তত ১২ জন মানুষ এই গ্যাস দুর্ঘটনায় মারা যান। হাজার হাজার মানুষ প্রভাবিত হয়েছিল এই গ্যাস দুর্ঘটনায়।