অক্সফোর্ড এবং এস্ট্রোজেনেকার মিলিত উদ্যোগে তৈরি সম্ভাব্য করোনার টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চলছিল ব্রাজিলে, সেখানেই হঠাৎ করে এক ২৮ বছর বয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ এখনও অবধি স্পষ্ট করা হয়নি। ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা অনভিসার পক্ষ থেকে মৃত্যুর সংবাদ দেওয়া হয়। তবে এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয় যে ওই ব্যক্তিকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল কিনা।
অনভিসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই মৃত্যুর ফলে টিকার ট্রায়াল থামবে না, তবে কতৃপক্ষ মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে। মৃত ব্যক্তিকে করোনার সম্ভাব্য টিকা দেয়া হয়েছিল কিনা, এখনো পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো তথ্য হাতে আসেনি তবে ঐ ব্যক্তি যে টিকার চূড়ান্ত ট্রায়ালের একজন স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন অনভিসার তরফ থেকে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি রিও-ডি-জেনিরোর বাসিন্দা এবং করোনা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত এস্ট্রোজেনেকার পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে ওই ব্যাক্তি করোনার টিকার ওভারডোজ এর কারণে মারা গিয়েছেন, তবে এই ব্যাপারে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে “আমরা ব্রাজিলের এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি, এখনো পর্যন্ত উদ্বেগের কোন কারণ নেই, কোন টিকা বাজারে আসার আগে সেই টিকার সম্ভাব্য সমস্ত রকমের ফলাফলই খতিয়ে দেখা হয় এক্ষেত্রে ব্রাজিলের এই ঘটনাটি আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি”।
ব্রাজিলে এস্ট্রোজেনেকার সাথে টিকার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে চীনের সিনোভ্যাক। স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুর এই ঘটনার পর এস্ট্রোজেনেকার শেয়ারের দাম পড়ে যায়। এর আগেও সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রোজেনেকার টিকার দৌলতে বৃটেনের এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন এবং কিছুদিনের জন্য টিকার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।