২০০ বেশি করোনা রোগীকে সাহায্য করে শেষে প্রাণ হারালেন আরেকজন যোদ্ধা

২০০ বেশি করোনা রোগীকে সাহায্য করে শেষে প্রাণ হারালেন আরেকজন যোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদন, দেশ ও বিশ্বে প্রচুর সংখ্যক লোক রয়েছে যারা করোনার অতিমারীর এই খারাপ সময়ে পরিবার থেকে দূরে থেকে মানুষকে সাহায্য করছেন। আরিফ খান ছিলেন এমনই একজন। তিনি ছিলেন দিল্লির সিলামপুরের বাসিন্দা, কিন্তু গত ৬ মাস ধরে বাড়িও যেতে পারেননি। আরিফ দিল্লির অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন। গত ছয় মাসে, তিনি অ্যাম্বুলেন্সে প্রায় ২০০ জন করোনাভাইরাস রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর পরে তাকে শেষকৃত্যের জন্যও নেওয়া হয়েছিল। ২৪ঘণ্টা করোনা রোগীদের পাশে থাকতেন তিনি। তবে শনিবার সকালে করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি দিল্লির হিন্দু রাও হাসপাতালে মারা যান।

জানা গিয়েছে, তার বাড়ির সদস্যদের মধ্যে একমাত্র তিনি আয় করতেন। তার বেতন ছিল ১৬ হাজার টাকা। তার বাড়ির মাসিক ভাড়া ৯হাজার টাকা। আরিফের বন্ধু জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, পরিবারের জন্য এখন খুবই শোকের সময়। তিনি বলেছিলেন, “সময়টা এখন খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে খান এতে মানুষকে সাহায্য করতেন। তিনি মানুষের আর্শীবাদ পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু করোনা হওয়ায় তার পাশে শেষ সময় থাকতে পারেননি কেউই৷ তিনি মুসলিম ধর্ম্বলম্বী ছিলেন, তবে হিন্দুদের শেষকৃত্যেও সমান ভাবে অংশ নিতেন। ধর্মের ভিত্তিতে কাজে কোনও ত্রুটি দিতেন না আরিফ৷ তার মৃত্যুতে সকলেই শোকাহত৷”

সূত্রের খবর, ২ অক্টোবর আরিফের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তিনি তাঁর কোভিড পরীক্ষা করান, যা পজিটিভ আসে। এর পরে, যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, সেদিনই তার মৃত্যু হয়। আরিফের ২২ বছরের ছেলে আদিল বলেছে যে তারা মার্চ থেকেই তাকে মাঝে মধ্যেই দেখেছিল। তিনি যখনই বাড়িতে জামাকাপড় বা অন্য কোনও জিনিস নিতে আসতেন, তখনই তিনি কিছু সময়ের জন্য আরিফকে দেখতে পেতেন। পরিবার সবসময় তাকে নিয়ে চিন্তিত ছিল। তবে আরিফ নিজে কখনই আতঙ্কিত হননি এবং নিজের কাজটি করে গিয়েছেন।

Leave a Comment