শক্তি কমেছে আল-কায়দার, দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের

হিজবুল, তালিবান, লস্কর এদের সাথে সমকক্ষ ছিল আল-কায়দা। বলাই বাহুল্য যে এগুলোর প্রতিটি হল জঙ্গী সংগঠন। তবে একটি মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী শক্তি কমেছে আল-কায়দার। ভারতীয় উপমহাদেশে নাশকতা চালানোর জন্য তৈরী করা হয়েছিল আল-কায়দার স্পেশাল সেল “আল-কায়দা ইন দ ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট”, এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। তবে মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী এরা একেবারে ছোটখাটো সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না।

সংগঠনগুলির শেষ বড়ো মাপের নেতা আসিম উমার ২০১৯এ মার্কিন সেনার হাতে আফগানিস্তানে মারা যায়, আর তারপরই সংগঠনটি বড়ো মাপের ধাক্কা খায়। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে এরা কোনো বড়ো নাশকতা চালানোর অবস্থায় আর নেই। এদের সদস্য সংখ্যা কমে প্রায় ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং তারাও টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যাস্ত। তাই বিদেশে নাশকতা চালানোর মত লোকবল এবং অর্থবল কোনোটাই তাদের এই মুহূর্তে নেই।

সন্ত্রাস দমনে আমেরিকার লড়াই যে বেশ কাজ দিয়েছে সেটা বর্তমান পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিগত দশক ধরে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের অভিযানে প্রচুর পরিমানে সন্ত্রাসবাদী মারা গিয়েছে। ড্রোন হামলায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সংগঠনগুলির বেশ কিছু শীর্ষ নেতাও মারা গিয়েছে এবং সেই কারণেই পশ্চিমের দেশগুলিতে এইসব জঙ্গী সংগঠনগুলির নাশকতা কমেছে। “তবে শক্তি কমলেও এরা বিশ্বের বহু জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং বহু শাখা বিস্তার করেছে”- এমনটাই মনে করেন আমেরিকার ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিসম এর ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার মিলার। “তাই তাদের শক্তি কিছুটা কমলেও তারা যে আবার নতুন করে সঙ্গবদ্ধ হতে পারবেনা সেটা মনে করার মত কিছুই হয়নি” বলেন তিনি।

Leave a Comment