পুজোর পর করোনা সংক্রমণের হার ফের বাড়তে পারে, রাজ্যবাসীকে সাবধান করে দিল মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন, সামনে পুজো, চলছে শপিং! তবে ভুলে গেলে চলবে না, করোনা এখনও যায়নি। যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আনন্দে মজে ওঠে মানুষ, তাহলে সংক্রমণের হার ফের বাড়বে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যবাসীকে ফের সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশপাশি করোনার স্বাস্থবিধিগুলোও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন,”করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, প্রত্যেকে মাস্ক পরুন।সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।পুজো প্যান্ডেলে যাওয়ার সময়ও মাস্ক পরে যান।”
পাশপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন পূজো কমিটিগুলোকেও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন পূজো কমিটিগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, “সতর্কতামূলক প্রচার করতে হবে পুজো কমিটিকে। মাস্ক না পরলে প্যান্ডেলে ঢুকতে দেবেন না। প্রয়োজনে প্যান্ডেলে ঢোকার সময় স্যানিটাইজার, মাস্ক দিন”। এই ব্যাপারে পুজো কমিটিদের উৎসাহিত করতে বিশেষ পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয় নবান্নর তরফ থেকে। পুরস্কৃত করা হবে, করোনা সংক্রমণ রুখতে কমিটিগুলির পূজা মণ্ডপে ব্যবস্থাপনা দেখে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে অতিরিক্ত পয়েন্ট দেওয়া হবে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের চিকিৎসকদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন এই বলে যে, পূজোর পর করোনার সুনামি আসবে। তাই চিকিৎসকদের আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে বলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত পূজোর বাজারে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ বাড়ার ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার ও শহরতলির বাজার দেখে মনেই হচ্ছে না যে করোনা নামক মহামারির আদৌ কোনো অস্তিত্ব আছে বলে।
পাশাপাশি এদিন যোগী রাজ্যে দুর্গাপুজো না হওয়া নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে পুজোর অনুমতি নেই। দিল্লির সিআর পার্ক ছাড়া আর কোনও অনুমতি নেই। বাংলায় পুজো হবে, কিন্তু সংক্রমণ আটকাতে হবে।”