বিনা চিকিৎসায় কেটে গেল ১ দিন, হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরল অসহায় মা-বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদন, আহত ছেলেকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরল অসহায় মা-বাবা। একে লকডাউন, তার উপর বিপন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থা – দু’এর মাঝে মা-বাবার বেহাল অবস্থা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার গিরীশ পার্ক থানার রাম মন্দির এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের কার্তিক সর্দার দুধ কিনতে বেরিয়ে বেপরোয়া মোটর বাইকের সামনে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ এলাকার এক ক্লাবের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে।
মা-বাবার অভিযোগ, সেই হাসপাতালে তাকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় পরদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত। তারপর কিশোরকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেয় এনআরএস। কিন্তু হাসপাতাল থেকে সরকারি নিয়ম মেনে কিছুই করা হয়নি। বাধ্য হয়ে বাড়ি আনা হয় কিশোরকে। কেটে যায় আরও চার ঘণ্টা। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে কার্তিক। তারপর জ্ঞান হারায়। সকাল আটটায় হাসপাতালের কাগজ নিয়ে ফের শুরু হয় পরিবারের লড়াই। লকডাউনে বহু চেষ্টা করেও মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স । কার্তিককে এলাকার এক ভ্যান চালকের সাহায্যে সাইকেল ভ্যানে করে শুরু হয় হাসপাতাল যাত্রা।
শেষমেশ সাড়ে ৯ টা নাগাদ ভ্যান গিরিশপার্ক থেকে আরজিকর পৌঁছয়। কিন্তু এরপরও অপেক্ষা। সাড়ে ১১টায় আরজিকর-এর তরমা কেয়ার ইউনিটে অবশেষে ঠাঁই হয় কিশোরের। চিকিৎসা শুরু হট। লকডাউনের মধ্যে এরূপ অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা শহর।