সংক্রমণে জেরবার ইউরোপ

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন থেকে আগেই সাবধান করা হয়েছিল করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের উপর, কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোর নাগরিকেরা ঘরে আবদ্ধ ভাবে বসে থাকার চেয়ে রেস্তুরা, পাব এবং ভ্রমণ স্থলকেই বেছে নিয়েছিলেন আর সেই কারণেই হয়তো ভোগান্তি শুরু হলো। এই সময়টিতে ইউরোপে এমনিতেই ফ্লু সিসন চলে, তারমধ্যে করোনা অতিমারির প্রভাবে নাজেহাল অবস্থা গোটা ইউরোপের।

দেশগুলির হসপিটালে আইসিইউতে রীতিমত ভিড় উপচে পড়ছে। স্পেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মাদ্রিদে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে, বাকি দেশগুলোরও একই অবস্থ। ইটালি ইতিমধ্যেই কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। বাইরে মাস্ক না পড়ে বেরোলে বড়োসড়ো ফাইন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইটালি ছিল ইউরোপের করোনার ভরকেন্দ্র, সে দেশের সরকার রীতিমতো সন্ত্রস্ত করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে।

ইউরোপের সমস্ত বড় শহর গুলির রীতিমতো অবস্থায় একই। মাদ্রিদ থেকে শুরু করে প্যারিস কিংবা কিয়েভ সর্বত্রই হসপিটালের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। সাধারণ ফ্লু এবং করোনার উপসর্গ একই হওয়ার কারণে করোনার পরীক্ষা ছাড়া রোগীদের চিহ্নিত করাটাই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা প্রায় হাতেগোনা।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষার মতে আমেরিকার থেকে সংক্রমণের হার এখন বেশি বেলজিয়ামে, আর তারপর নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেনে, স্পেন এবং ফ্রান্স। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের অধিকর্তা রব বাটলার জনান ” গত ২৪ ঘন্টায় গোটা ইউরোপ জুড়ে সংক্রমিত হয়েছেন ৯৮ হাজার, যেটি একটি রেকর্ড”। অনেকবার সাবধান করা সত্ত্বেও ইউরোপের দেশগুলোর কাছে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন চলে এলেও পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে ভ্যাকসিন ছড়াতে এখনো লেগে যাবে প্রায় দুই থেকে তিন বছর, তাই যদি সাবধানতা অবলম্বন না করা হয় তাহলে করোনার থেকে মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ।

Leave a Comment