গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার লুইজিয়ানা প্রদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় লরা। লুইজিয়ানার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার। এখনো পর্যন্ত ১৮ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এক ১৪ বছর বয়সী কিশোরী গাছের তলায় চাপা পড়ে প্রাণ হারান।
এখনো পর্যন্ত এই অঞ্চলে আসা ঘূর্ণিঝড় গুলির মধ্যে সবথেকে বিধ্বংসী ছিল লরা। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ক্যাটাগরি ৪ পর্যায়ের হ্যারিকেন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেক চার্লস শহর। বহু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। অগুনতি গাছ এবং বৈদ্যুতিক পোস্ট ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতায় উপড়ে গেছে।
জলমগ্ন একাধিক রাস্তা, বিদ্যুৎ পরিষেবার অভাবে প্রায় ৯ লক্ষ বাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগে গেলে দমকল বাহিনীর বিশেষ তৎপরতায় সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখনো পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার ন্যাশনাল গার্ড, এলাকায় উদ্ধার কার্যের জন্য মোতায়ন করা হয়েছে। আশেপাশের প্রদেশগুলি থেকেও উদ্ধার বাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি এই মুহূর্তে একটি প্রবল নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়েছে। এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি এখনও বিদ্যমান। তবে লুইজিয়ানার গভর্নর বেল এডওয়ার্ডস-এর মতে ” ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে”। জলস্তর এখনো নামেনি, বাসিন্দাদের এখনো সাবধানে থাকার অনুরোধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ভাঙা বাড়ি মেরামতি করানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে এটি সময়সাপেক্ষ কাজ এবং সম্পন্ন হতে মাসখানেক লাগতে পারে। এখনো পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৫০ হাজার ডলারের ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হয়েছে।