করোনা আবহে প্রতিটি দেশই সমানভাবে লড়ে যাচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন রেকর্ডসংখ্যক মানুষ সেখানে একমাত্র আস্থা করোনার ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের দৌড়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে বিশ্বজুড়ে, বিশেষত রাশিয়ার স্পুটনিক ভি তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ছাড়াই যখন বিশ্বের দরবারে পেশ করা হয় তখন অনেক বিশেষজ্ঞই এর বিরুদ্ধে নিজেদের মন্তব্য জাহির করেছিল। তবে ভ্যাকসিনের দিক থেকে সর্বপ্রথম যার নাম আসে সেটি হলো চাডক্স – এই ভ্যাকসিনটি বৃটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ইনস্টিটিউট এস্ট্রোজেন এ-কার গবেষণায় নির্মিত। এই ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল এখনো অব্দি চলছে, সম্প্রতি ভারত সরকারও এই ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। প্রসঙ্গত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য এস্ট্রোজেনেকার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সেরাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার শর্ত হিসেবে চীনের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের সায় দেয়। এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বেক্সিমকো এই ব্যাপারে চীনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।
তবে সিরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে বেক্সিমকোর হওয়া চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অক্সফোর্ড এবং এস্ট্রোজেনেকার প্রস্তুত করা ভ্যাকসিনটি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এর কাছ থেকে পাবে। সম্প্রতি বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা অক্সফোর্ড এবং অস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে এসেছিলেন।
বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষ থেকে সায়ান এফ রহমান এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও সি পুনাওয়ালা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেন “এই চুক্তি দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতার স্মারক হিসেবে থাকবে”।
প্রসঙ্গত বৃটেনের অক্সফোর্ড এবং এস্ট্রোজেনেকার নির্মিত এই ভ্যাকসিনটি গবেষণার অগ্রগতির দিক থেকে এখনো পর্যন্ত সবার থেকে এগিয়ে।