শেষমেশ ধারাভি বস্তির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, বন্ধ হল করোনা হাসপাতাল

শেষমেশ ধারাভি বস্তির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, বন্ধ হল করোনা হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনার শুরুতে মুম্বই-তে করোনা রোগীর সংখ্যা লাগাম ছাড়া বাড়তে দেখা দেয়। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই আয়ত্তে এসেছে। মুম্বই-এর ধারাভি বস্তিতে আর মাত্র ৯৭জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন। শুরুর দিকে মুম্বাইতে এই বস্তিতেই সর্বাধিক সংক্রমণ ঘটেছিল। আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই দ্রুতগতিতে বাড়ছিল যে ধারাভির কাছে সাই হাসপাতালের ৫১টি বেডও কোভিডের জন্য আওতায় আনে বৃহন্মুম্বই পুরসভা বা বিএমসি। আইসোলেশনের সুবিধাও তৈরি করা হয় ওই হাসপাতালে। তবে এবার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়ায় ২০০টি বেডের সাময়িক হাসপাতাল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএমসি।

এমএমআরডিএ-র আওতাভুক্ত ৪ হাজার বর্গমিটারের একটি প্লট পড়ে ছিল মহারাষ্ট্র নেচার পার্কের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য। সেখানেই সাময়িক হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়।১ এপ্রিল প্রথম করোনা কেস ধরা পড়ে ধারাভিতে। এশিয়ার বৃহত্তম এই বস্তিতে ৬১৩ হেক্টর জমিতে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের বাস। তাই সংক্রমণ দ্রুত বাড়ে। এর ফলে চিন্তায় পড়ে যায় মহারাষ্ট্র প্রশাসন। তবে এবার তাঁর লাগাম লাগল, আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেক কম। এমনকী ধারাভিতে ব্রেক দ্য চেন-এর সাফল্যের স্বীকৃতি আগেই দিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এবার এ সকল করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত হাসপাতালের বেডগুলিও ছেড়ে দিতে চলেছে বিএমসি। জি-নর্থ ওয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কিরণ দিঘাভকর বলেন, “চিকিৎসা ও আইসোলেশনের জন্যই আমরা পার্কিংয়ের মাঠে সাময়িক হাসপাতাল বানিয়েছিলাম, সাই হাসপাতালে বেড নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর তার প্রয়োজন পড়ছে না। বেড, আইসোলেশন ওয়ার্ড ফাঁকা হয়ে গিয়েছে প্রায়। তাই আপাতত আমরা এসব অস্থায়ী ওয়ার্ড বন্ধ করে দিচ্ছি। যদি বিপদআপদ আবার দেখা দেয়, তখন ফের খোলার কথা ভাবা যাবে। পরিকাঠামো কেমন হওয়া দরকার তা আমরা এই দফাতেই একটা ছবি পেয়ে গিয়েছে। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়”।

Leave a Comment