রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক আজ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে তারা স্পুটনিক ভ্যাকসিনটিকে সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। এর আগে ১১ ই আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন,করোনার প্রতিষেধক স্পুটনিকের কথা। তবে তৃতীয় ধাপের হিউম্যান ট্রায়াল পেরোনোর আগেই ভ্যাকসিন বাজারে আনায় আন্তর্জাতিক মহল যথেষ্ট দোটানায় রয়েছে। মস্কোর মেয়ের সের্গেই সোবিয়ানিন জানান যে আর কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়ার প্রতিটি শহরে পৌঁছে যাবে এই টিকা, শেষ হবে করোনার আতঙ্কের।
কিছুদিন আগে চীন কার বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শন করেছিল করোনার ভ্যাকসিনের, শোনা যাচ্ছে সেই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার জন্য বিশেষজ্ঞদের টিমের প্রধান চার বৈজ্ঞানিক কে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং দাবি করেন যে একমাত্র তাঁর দেশই সঠিকভাবে করোনা দমনে সক্ষম হয়েছে। যেখানে বিশ্বের প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্নমুখী সেখানে একমাত্র চীন তার আর্থিক পরিকাঠামো অক্ষুন্ন রাখতে সফল হয়েছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী চীন বাজারে একসাথে তিনটি ভ্যাকসিন আনতে পারে।
ল্যানসেট পত্রিকায় রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিন টির প্রথম দফার টেস্টিং রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও পরের দফার টেস্টিং এর কোন রিপোর্টই প্রকাশিত হয়নি কিন্তু রাশিয়ার গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউটের বক্তব্য অনুযায়ী পরের সমস্ত টেস্টিং রিপোর্টই ইতিবাচক এবং এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় যে এই টিকা তৈরিতে তাদের সাহায্য করেছে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক, এবং তার জন্যই এই টিকার গুণগতমান সম্পূর্ণভাবে বজায় রাখা হয়েছে।
তবে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বারবার টিকা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করা সত্ত্বেও তাতে কর্ণপাত করছে না রাশিয়া এবং চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে টিকা নিয়ে অযথা তাড়াহুড়োর ফলে উল্টো ফল মিলতে পারে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে টিকার লড়াই চালিয়ে গেলে এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারে।