রাতারাতি লকডাউন উঠে গেলে বিপদের মুখে পড়তে পারে দেশ, সতর্ক করল WHO
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা প্রকোপে গোটা বিশ্ব জর্জরিত। করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। আক্রান্ত বহুজন, কিন্তু এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে এই অতিমারীকে। আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশ কমেছে। পরিস্থিতি বুঝে তাই সরকার লকডাউন এবার শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এটি ভালো চোখে দেখছে না WHO। রাতারাতি লকডাউন তুলে দিলে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আজ থেকে ভারত যখন ভারত যেদিন আনলকের চতুর্থ পর্যায়ে পা রাখছে, ঠিক তার একদিন আগেই তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
WHO আগেই জানিয়েছিল, লকডাউন তুলতে হলে প্রয়োজন ‘চূড়ান্ত নজরদারি’।হঠাৎ লকডাউন তুলে নিলে ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে যদি এরূপ সিদ্ধান্ত রাতারাতি নেওয়া হয়, তাহলে ফের বিপদের সম্মুখীন হতে পারে বিশ্ব। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর সাবধানতা অবলম্বন না করলে ফের দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলছিলেন, “দ্রুত জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে দেওয়ার প্রক্রিয়া বিপর্যয় এনে দিতে পারে। যে সমস্ত দেশ এই ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে শুধু তারাই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার পথে হাঁটতে পারে।”
ইতালি-সহ গোটা ইউরোপেই আগের তুলনায় করোনার প্রভাব খানিকটা কম, এর জেরে তারা লকডাউন তোলার কথা ভাবছে। কিন্তু ভারতের অবস্থা এখনও সেখানে এসে দাঁড়ায়নি। করোনার প্রভাব কমার কোনও ইঙ্গিত না মেলা সত্বেও লকডাউন তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। এরই মধ্যে WHO’র এই নতুন সতর্কবার্তা নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষের চিন্তা বাড়াবে। টেড্রোসের কথায়, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা ভাইরাসটিকে ছড়াতে সাহায্য করছি না। যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাঁদের রক্ষা করতে হবে। চূড়ান্ত নজরদারি’ প্রয়োজন। কারণ সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’গুলি যদি থেকে যায়, তাহলে রোগটি নিচুতলায় চলতেই থাকবে। তাই আরও বেশি বেশি টেস্ট, সনাক্তকরণ এবং আইসলেশন প্রয়োজন।” who’র এই আগাম ঘোষণা লকডাউন আরও দীর্ঘ করতে পারে বলেও মনে হচ্ছে।