রাজ্যে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার কিট দেওয়া আর হবে না, জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

রাজ্যে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার কিট দেওয়া আর হবে না, জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনার জেরে নাজেহাল রাজ্য। পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। করোনা রুখতে গোটা রাজ্যে চলছে লকডাউন। কিছুটা শিথিল করা হলেও এখনও সব স্বাভাবিক হয়নি। করোনার জেরে বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছে। রোজগার নেই মানুষের, এরমধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো কাজ করল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গকে আর নিখরচায় কোভিড নির্ধারক আরটিপিসিআর (RT-PCR) কিট দেওয়া হবে না, বলে জানালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থা আইসিএমআরের (ICMR) তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে, এবার খোলা বাজার থেকে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির লালারস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট ও ভিটিএম, স্বাস্থ্য দপ্তরকে কিনতে হবে। এরফলে শুধুমাত্র কিট কিনতেই রাজ্যের কোষাগার থেকে রোজ বেরিয়ে যাবে অন্তত আট লক্ষ টাকা। উপরন্তু রয়েছে লালারস সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়ার ভিটিএম (ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম) কেনার খরচ।রাজ্যের ভান্ডার এবার ফাঁকা হওয়ার পথে। কিভাবে সব ম্যানেজ করবে রাজ্যসরকার। কেন্দ্রের এই নতুন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্যবাসী।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “আইসিএমআরের অবস্থান জানার পর স্বাস্থ্য দপ্তর জরুরি ভিত্তিতে আরটিপিসিআর কিট ও ভিটিএম (VTM) কিনেছে।”১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই আরটিপিসিআর কিট এবং লালারস সংরক্ষণের ভিটিএম রাজ্যকে কিনে নিতে হবে, বার্তা আইসিএমআরের। শুধু কিট বা ভিটিএম নয়। ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষার আনুষঙ্গিক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, যেমন সিপলার বা হাই সেনসিটিভ স্পেক্টমেট্রিকও এখন আইসিএমআর অনুমোদিত ভেন্ডার বা সরবরাহকারীর থেকে কিনতে হবে।

১৫ ই আগষ্টের পর থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ৭০টি ল্যাবরেটরিতে দিনে গড়ে ৪০-৪৫ হাজার আরটিপিসিআর পরীক্ষা হচ্ছে। নবান্নের নির্দেশে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।এরূপ আশার মধ্যে জল ঢেলে দিল কেন্দ্র। অস্বস্তিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এতদিন শুধু সরকারি ল্যাবরেটরি বা হাসপাতাল নয়, আইসিএমআর অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিও স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে নিখরচায় কিট, ভিটিএম পেয়েছে।এবার রাজ্যের এই কীটের আর্থিক পুরো দায়িত্ব রাজ্যের হাতেই। আইসিএমআর থেকে চারটি নির্দিষ্ট ভেন্ডারকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে তাদের থেকেই কেনা হবে, বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Comment