রবীন্দ্রনাথকে ‘বহিরাগত’ বলায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগ ‘সুনিশ্চিত‘-এর আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে

রবীন্দ্রনাথকে ‘বহিরাগত’ বলায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগ ‘সুনিশ্চিত‘-এর আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে

নিজস্ব প্রতিবেদন, গত ১৭ আগস্ট থেকেই পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বভারতী চত্বরে চলে ভাঙচুরও। সেসব ঘটনার পরিপেক্ষিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বলেন, যারা এরূপ কাজ করছে তাদের ‘রাজনৈতিক কর্তারা’ ‘উৎসাহিত’ করেছিলেন। এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত, এমনই অভিযোগ তিনি করেন। পাশাপাশি তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে এমন কিছু কথা টেনে আনেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ টেনে এনে উপাচার্য বলেন, ‘পাঠকদের মনে করিয়ে দিয়ে শুরু করি যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে বহিরাগত ছিলেন; তিনি যদি ওই অঞ্চল পছন্দ না করতেন তবে বিশ্বভারতী বিকশিত হত না।’

এরপরই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলার জন্য এমনিতেই সপ্তাহখানেক ধরে তুমুল বিতর্ক চলছে। এবার সেই ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তুলল জাতীয় বাংলা সম্মেলন। তা নিয়ে সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যাকে গণ ইমেলও করা হল।’শিষ্টাচার বহির্ভূত, অগণতান্ত্রিক ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের জন্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে গণ ইমেল পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎবাবুর পদত্যাগের বিষয়টিও ‘সুনিশ্চিত’ করার আর্জি জানানো হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়াদের একাংশ। প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় বাংলা সম্মেলনও।এ বিষয়ে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সম্পাদক সিদ্ধব্রত দাস জানিয়েছেন, ‘পদত্যাগ করার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে মেল পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি আগামিদিনে শান্তিনিকেতনে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছি আমরা।’ তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ হিসেবে অভিহিত করায় সমগ্র দেশের বাঙালিদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। পাশাপাশি তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য্য হয়ে শান্তিনিকেতনে বসবাসকারী বাঙালিদের নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, যা তাঁর মুখে কোনওভাবেই শোভা পায় না।

Leave a Comment