মহাকাশে ভারতীয় স্যাটেলাইটের নয়া আবিষ্কার সৃষ্টি করতে পারে পৃথিবীর নয়া ইতিহাস
নিজস্ব প্রতিবেদন, বিশালাকৃতি নক্ষত্রের চারদিকে ঘোরে গ্রহ। সেই সূত্রে মেনেই তৈরি হয়েছে সৌরজগৎ। কিন্তু সেই মহাজাগতিক সূত্রকে ধন্দে ফেলে দিয়েছে এক দৈত্যাকৃতি গৃহ। বিজ্ঞানীরা যার নাম রেখেছেন এনজিটিএস-১বি। আয়তনে বৃহস্পতির সমান। আর এই গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে ছোট্ট একটি তারাকে। যার ওজন সূর্যের অর্ধেক।কীভাবে এই ক্ষুদ্র একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে বিশালাকৃতি গ্রহটি, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এবার প্রথম ভারতীয় মাল্টি তরঙ্গ স্যটেলাইট অ্যাস্ট্রোস্যাট মহাকাশে একটি বিরল আবিষ্কার করেছে। এই স্যটেলাইট সূদূর আকাশগঙ্গা থেকে বেরোনো আল্ট্রা ভায়োলেট রে অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মির খোঁজ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা পৃথিবী থেকে ৯.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।
আইইউসিএএ জানিয়েছে, মাল্টি তরঙ্গ স্যাটেলাইটে পাঁচটি এক্সক্লুসিভ এক্স-রে এবং দূরবীন রয়েছে। এই স্যাটেলাইট একটি শক্তিশালী আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি সনাক্ত করেছে যা AUDFS-01 নামক একটি গ্যালাক্সি থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। এই ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা পৃথিবী থেকে ৯.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।পুনে ভিত্তিক ইন্টার -ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আইইউসিএ) -এর নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক দল এই নিয়ে কাজ করে কৃতিত্ব অর্জন করেছে। টানা দু- বছর ধরে এগুলি বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। এই অতিবেগুনী রশ্মি ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে একটানা ২৮ দিনের জন্য দৃশ্যমান ছিল।
এই তীব্র অতিবেগুনী রশ্মি অনুসন্ধানের জন্য বিশ্বব্যাপী দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইইউসিএর সহযোগী অধ্যাপক ডঃ কনক শাহ। এ বিষয়ে অধ্যাপক ডঃ কনক শাহ জানিয়েছেন, “এক বছরে আলো যতদূরে যেতে পারে তত সময়কেই আলোকবর্ষ বলে। সেই হিসেবে এটি প্রায় এটি প্রায় ৯৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারের সমান”।