ভাত খেলে হবেন না মোটা

বাঙালি ভাত খাবেন না তা আবার হয় নাকি? একবেলা ভাত না খেলে সারাদিনটাই যেন কিরকম শুকনো শুকনো লাগে। বিশেষ কারণবশত ডাক্তাররা ভাত খেতে বারণ করলেও একবেলা পেট পুরে ভাত তো আমরা খেয়েই ফেলি। কিন্তু রোগা হওয়ার নিউ ট্রেন্ডে পিছিয়ে পড়ছেন ভেবে, আগেই বর্জন করছেন ভাত। তবে পুষ্টিবিদের মতে ভাতে রয়েছে এমনকিছু গুণ যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই একটু বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন ভাত খেলে এমন কিছু ক্ষতি কিন্তু হয় না বরং তা শরীরের পক্ষেও ভালো।

১. ভাত একটি উচ্চ কার্বহাইড্রেট যুক্ত খাবার যা আমাদের শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। কার্বহাইড্রেটের পরিমান বেশি থাকলেও এটি লো ফ্যাট, লো সুগার জাতীয় খাদ্য।
২. আপনি কি হাইপারটেনশনে ভুগছেন তাহলে নিশ্চিন্তে পরিমান অনুযায়ী ভাত খান কারণ ভাতে কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম নেই।
৩. ভাত একটি গ্লুটেন মুক্ত খাবার তাই যাদের গ্লুটেন যুক্ত খাবার সহ্য হয় না তার ভাত খেতেই পারেন। এটি একটি নন এলার্জিক খাবার।
৪. ব্র‍্যান অয়েল অর্থাৎ চালের থেকে তৈরী তেল, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত হওয়ায় হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। রাইস ব্র‍্যান অয়েল দিয়ে রান্না করলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. ঝরঝরে সাদা ভাত হজমেও সাহায্য করে। পাশাপাশি খনিজের উৎসও বটে।এতে থাকে দস্তা, যা প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আরও আছে ম্যাঙ্গানিজ, যা একটি  অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কোষের কার্যকলাপ বাড়ায়। এছাড়াও এতে থাকা ‘অ্যামিনো অ্যাসিড’ যকৃতের চর্বি বিপাক প্রক্রিয়ায় খরচ করতে সাহায্য করে।

রোজকার ব্যালেন্স ডায়েটে ভাতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার রোজ খাদ্য তালিকায় পরিমান মতো ভাত আপনার ওজন বাড়াবে না বরং শরীরকে পুষ্টিগুণে ভরিয়ে দেবে। ডায়েট করতে চাইলে শাক-সবজি, ফলমূলের সাথে অল্প পরিমান ভাত অবশ্যই পাতে রাখুন।

Leave a Comment