এটা ভাবতেও অবাক লাগে যে আমেরিকার মত উন্নত দেশেও বর্ণ বৈষম্য বারবার এত বড় ভাবে উঠে আসে, গত রবিবার প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করা হয় জেকব ব্লেক নামের কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তির কি অপরাধ ছিল সেটা এখনো জানা যায়নি তবে পুলিশের গুলি চালানোর সময় ঐ ব্যক্তি যে নিরস্ত্র ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রথমদিকে সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছিলো যে তার পিঠে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সাতটি গুলি করা হয়েছে, কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে গুলি ৭টি নয় বরং ৮টি। গত রবিবার আমেরিকার উইসকনসিন প্রদেশের কেনেসা শহরে একটি পারিবারিক ঝামেলা কে কেন্দ্র করে পুলিশের আগমন হয় এবং হঠাৎ করেই পুলিশ পথচলতি জেকব কে নিজের গাড়িতে ঢোকার সময় তার পিঠে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। মুহূর্তে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনগণ, ইট বৃষ্টি এবং পেট্রোল বোমার জেরে আহত হয় এক পুলিশ অফিসার। রাস্তায় নামা সমবেত জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে ৩০ মিনিট ধরে কাঁদানে গ্যাস চালাতে হয় পুলিশকে।
পারিবারিক সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, জেকোবের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। আটটি গুলি লাগায় তার শরীর ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে। তবে জেকোবের পরিবারের পক্ষ থেকে সহ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেখানোর জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। ” ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” আন্দোলনের জেরে আমেরিকা নাজেহাল আর সেখানেই আবার গতকাল নতুন স্লোগান উঠলো ” নো জাস্টিস নো পিস “। গত রবিবারের ঘটনায় এখনো মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে কেনেসা পুলিশ।
পুরো ঘটনাটাই প্রত্যক্ষ করা হয়েছে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে। সেই ভিডিওতে বারবার পুলিশ জেকব কে তার ছুঁড়ে ফেলে দিতে বলছিল, কিন্তু ২২ বছরের রেসিন হোয়াইট, যিনি এই ভিডিওটি করেছেন তার মতে জেকোবের হাতে কোন ছুড়ি বা অস্ত্র ছিল না।
তবে কেনেসা পুলিশের মতে ঘটনাটি এখনো তদন্তাধীন, এবং পুরোপুরি তদন্তের আগে কোন কিছু নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। কেনেসা পুলিশ বডি ক্যামেরা ব্যবহার না করলেও তাদের বডি মাইক্রোফোনে সমস্ত ঘটনা এবং কথোপকথনের রেকর্ড হয়ে রয়েছে, এবং তথ্য প্রমাণ হিসেবে এইগুলি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করা হয়েছে।