বিজেপি নেতা মণীশ খুনের তদন্তে বিহারে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি, ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল
নিজস্ব প্রতিবেদন, বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনে বিহারে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির দল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুবোধ সিং নামে এক দুষ্কৃতীর খোঁজে যাচ্ছে সিআইডি। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে পাটনা জেলে বন্দি আছে সুবোধ সিং। সেখানে বসেই নাকি মণীশ শুক্লাকে খুনের চক্রান্ত করে ওই দুষ্কৃতী, দাবি করছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের দাবি, বছর দশেক আগে জেলে সুবোধের সঙ্গে পরিচয় হয় নাসির খানের। মণীশ খুনের বরাত সুবোধকেই দেয় নাসির। এরপর বিহার থেকে ভাড়াটে খুনির ব্যবস্থা করে সে। সিআইডির গোয়েন্দাদের দাবি, মণীশ শুক্ল খুনে ধৃতদের জেরা করে মিলেছে এই সুবোধ সিংয়ের নাম। বিহারের বাসিন্দা সুবোধের আত্মীয়ের ফ্ল্যাট রয়েছে সোদপুরে। সেই সোদপুর, যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অগ্নেয়াস্ত্র।
মঙ্গলবার এই ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে রাতভর জেরা করেছে তদন্তকারী সি আই ডি অফিসাররা। বুধবার সকালে ধৃত খুররম ও গুলাম শেখকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সি আই ডির এক প্রতিনিধি দল। তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান মণীশ খুনে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত খুররম খান। এই খুররম খানের বাবাকে কয়েক বছর আগে তার বাড়ির সামনে হত্যা করা হয়েছিল। তারই প্রতিশোধ নিয়ে মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, এরকমই প্রাথমিক ধারনা সি আই ডির।
সূত্রের খবর, মণীশ খুনের তদন্তের জাল গোটাতে তাই এবার বিহারের নালন্দা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সিআইডি। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছেছে বারাকপুর কমিশনারেটের একটি পুলিশের দল। বিহার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সুবোধকে পশ্চিমবঙ্গে আনার চেষ্টা করবে তারা। আরও জানা গিয়েছে, মনীশের শরীরে ৭ টি বুলেট লেগেছিল। মাথাতে লেগেছিল ৩ টি গুলি। এই ঘটনা যেখানে ঘটেছিল, সেই ঘটনাস্থল টিটাগড় থানার পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। বুধবার বিকেলে সেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেন্সিক দল। ৩ সদস্যের ফরেন্সিক দলের সদস্যরা পিপিই কিট পরে খুন হওয়া সেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে।