প্রতিষেধকের লড়াই ভালো ফল দেবে না

বিশ্বের ভেঙেপড়া অর্থনীতি ফেরাতে ইতিমধ্যেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে করোনার প্রতিষেধক বাজারে আনার হিড়িক। একদিকে রাশিয়া ইতিমধ্যেই বাজারে এনেছে নিজেদের স্পুটনিক ভি, যার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল সঠিকভাবে হয়েছে বলে মনে করে না ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন তার মধ্যেই সোমবার আমেরিকার সম্ভাব্য করোনার টিকার ‘ ফাস্ট ট্র্যাক’ ভিত্তিতে অনুমোদনের কথা জানানো হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডস আডেনাম গাব্রিয়েস জানান গোটা বিশ্বের এই আনলক পর্ব ডেকে আনতে পারে মহাবিপদ, তার মতে বিশ্বের অনেক জায়গাতেই এখনো লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ সংখ্যা তার মধ্যে এই আনলক পর্ব সংক্রমণ সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্যাব্রিয়েসস আরো বলেন যে তিনি করোনার ফাস্ট ট্র্যাক প্রতিষেধক নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত।

এদিকে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর প্রধান জানিয়েছেন যে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরা মনে করেন যে এই টিকায় ঝুকির থেকে লাভ বেশি তাহলেই অনুমোদন দিতে কোনো সমস্যাই নেই। তবে এখানেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর বক্তব্য, পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ এবং সমস্ত ধরনের ট্রায়ালের আগে টিকা বাজারে আনলে যদি হঠাৎ করে কোন সমস্যা দেখা যায় তবে তা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে।

এদিকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে নতুন সংক্রমনের খবর না থাকার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বাচ্চাদের স্কুল। রবিবার উহানের শেষ আক্রান্ত কে হাসপাতাল থেকে সুস্থ করে ছাড়া হয়েছে। ব্রিটেনেও চালু করা হয়েছে ৪০% স্কুল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সংক্রমনের গতিবেগ নিয়ে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে।

Leave a Comment