চীন ও ভারতের মাঝে স্নায়বিক টানাপোড়েন অব্যাহত। লাদাখ নিয়ে দু’পক্ষই নিজেদের জমি ছাড়তে নারাজ। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে চীনকে চাপে রাখার জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করা নিয়ে কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি।
চীনের সাথে ভারতের সম্পর্ক যথেষ্ট পরিমাণে খারাপ হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকা এবং লাদাখের ফিঙ্গার পয়েন্ট গুলো নিয়ে চীনের আগ্রাসন নীতি ভারতকে যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে। কোভিড আবহে প্রতিটি মৈত্রী দেশের সাথে টেলিকনফারেন্সে সক্রিয় কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছে নিউ দিল্লি। খুব শীঘ্রই চতুর্দেশীয় অক্ষ অর্থাৎ কোয়াড গ্রুপের একটি মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে নতুন দিল্লিতে। দক্ষিণ চীন সাগর এবং ভারতের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের একতরফা আধিপত্য খর্ব করার উদ্দেশ্যেই তৈরি এই গ্রুপ। অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সাথে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
আজ মস্কোয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এর সাথে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, বৈঠক করবেন তাই তার আগে শিনজো আবের সাথে এই টেলিফোনিক কনফারেন্স চীনের ওপর সাউথ ব্লকের একটি চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয় যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আলোচনা সফল হয়েছে, দু’দেশের সেনার মধ্যে লজিস্টিক্যাল সাপ্লাই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে মোদি এবং আবে। এই চুক্তির ফলে ভারত-জাপান হৃদ্যতার ভিত যথেষ্ট পরিমাণে মজবুত হবে।