পুলিশের বিরুদ্ধে আবার কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার অভিযোগে আমেরিকায়

মিনিয়াপোলিসের রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে পা দিয়ে তাকে মেরে ফেলেছিল আমেরিকার পুলিশ, এই নিয়ে চলেছে অনেক চাপানউতোর, হয়েছে অনেক আন্দোলন, নিন্দায় মুখর হয়েছেন বিশ্বজোড়া মানুষ। কিন্তু সেই আমেরিকাতেই আবার পুলিশের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠল, আমেরিকার উইসকনসিন প্রদেশের কেনেসা শহরে রবিবার জেকব ব্লেক নামের এক কৃষ্ণাঙ্গের পিঠে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর ৭ টি গুলি করে কেনেসা পুলিশ। গতকাল অস্ত্রপ্রচারের পরে যে কভের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেযে কবের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। নির্বাচনের আগে “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” বিক্ষোভে এমনিতেই পিছিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তারপর এই ঘটনা তার রাজনৈতিক প্রতিচ্ছবি আরো যে ঘোলাটে করবে তা বলাই বাহুল্য।

পুলিশের দাবি অনুযায়ী আহত ওই যুবককে তারাই হাসপাতালে ভর্তি করে কিন্তু কেন নিরস্ত্র একজন যুবকের পিঠে পরপর সাতখানা গুলি করা হলো তা নিয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে কেনেসা পুলিশ। কাল স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে এবং তারপরই উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর ইট এবং বোতল বোমা ছুড়তে শুরু করে, আশেপাশের এলাকায় রাখা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা কেনেসা শহরজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে কারফিউ। পুলিশের কাছে ৩০ দিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

দুই পরিবারের মধ্যেই গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল এবং এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ফোনের ফুটেজে দেখা যায় রাস্তায় হেটে যাওয়া জেকবকে হঠাৎ পুলিশ ধরে টানতে শুরু করে এবং সে যখন নিজের গাড়ির দরজা খুলতে যায় তখন তাকে পরপর সাতবার গুলি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের জনতা মারমুখী হয়ে ওঠে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইট এবং বোতল বোমায় এক পুলিশ অফিসার আহত হন।

ইতিমধ্যেই পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন উইসকনসিন এর গভর্নর টনি এভার্স। জেকোবের পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষদের শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Leave a Comment