পিতৃপক্ষেই দেবীর বোধন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ীতে

করোনার ত্রাসে গোটা বিশ্ব। তবু মায়ের আগমনের দিন যতো এগিয়ে আসছে মন বলে উঠছে, এবার সব অশুভ শক্তির বিনাশ হবে, বিদায় নেবে এই অসূররূপী ভাইরাস। বিশ সালে মনে মনে পূজোর আনন্দটা কোথাও যেন অনেকটাই ফিকে করে দিচ্ছে এই মহামারি। তবুও আশায় বুক বাঁধছি আমরা। ১৭ ই সেপ্টেম্বর পিতৃপক্ষের অবসান ও মাৃতৃপক্ষের সূচনা। অর্থাৎ মহালয়া। প্রতিবছরই মহালয়ার একসপ্তাহ পরেই দেবীর আগমন ঘটে। কিন্তু এবার যেন সবটাই কেমন এলোমেলো। পঞ্জিকা মতে, এবছর মহালয়ার প্রায় একমাস পরে দেবীর বোধন।

তবে ইতিমধ্যেই আগমনের সুরে দেবীর ঘরে ফেরার আরাধনা শুরু হয়ে গিয়েছে গড় ঝাড়গ্রামের রাজার পূজায়। ৪১১ বছরের এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পূজার বোধন শুরু হয় মহালয়ার আগে কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে মঙ্গলঘট স্থাপনের মাধ্যমে। এই রাজবাড়ীর দূর্গাপূজার সেই আগের জাঁকজমক আর এখন তেমন নেই। তবে নিয়মনীতি ও সমস্ত নির্ঘন্ট মেনেই আজও মায়ের আরাধনা শুরু হয় পিতৃপক্ষ থেকেই। পুরাতন ঝাড়গ্রাম শহরেই রয়েছে সাবিত্রী দেবীর মন্দির। মন্দিরের বিতরে পৃথক চন্ডিমন্ডপে দূর্গাপূজাটি হয় পটে। আগে শালপাতার তৈরী পটে মায়ের চিত্র ছিলো হাতে আঁকা। কয়ের শতাব্দীর এই প্রাচীন পটটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মন্দিরের ভিতরের দেওয়ালেই দেবীর চিত্রে পূজা হয়। তাই এখানে মা পাটেশ্বরী নামেই পরিচিত। এই সাবিত্রী মন্দিরেই এবছর একমাস ধরে নিয়মিত চলবে চন্ডিপাঠ, হোম- যজ্ঞ। তারপর প্রতিবছরের মতোই শুরু হবে মায়ের প্রধান চার দিনের পূজা।

Leave a Comment