আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে মনোনীত করার প্রস্তাব দিয়েছেন নরওয়ের পার্লামেন্ট সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিঙ গেদ্দে।
গত আগস্ট মাসে ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। এই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই তাকে মনোনীত করেছেন নরওয়ের পার্লামেন্টের চারবারের সদস্য গেদ্দে।
সম্প্রতি একটি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউ তে গেদ্দে জানান ” ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের কাজ করেছেন, ঠিক এরকম কাজ করার জন্যই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বাকি সদস্যরা মনোনীত হন”। ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে গেদ্দে নোবেল কমিটিকে লিখেছিলেন ” এটা আশা করা যায় যে মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশ গুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদাহরণ অনুসরণ করবে এবং এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশগুলির মধ্যে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে”।
গত ১৩ই আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং আমিরশাহির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান একটি যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কে রাজি হন।
নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নোবেল কমিটির এহেন সিদ্ধান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার বিরোধী প্রার্থী জো বিডেনের থেকে একটু এগিয়ে রাখতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষমতায় আসার পর উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ফলে আমেরিকার সাথে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক কিছুটা হলেও শুধরেছে। ভারত এবং চীনের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে অনেকবার উদ্যোগী হয়েছেন।