নিয়ম মেনেই মেতে উঠুন উৎসবে

বছর ঘুরে উমা এলো ঘরে। কিন্তু মর্তে যে এবছর সকলে ঘরবন্দী। করোনার প্রকোপে যে জনজীবন একেবারে ব্যাহত, কিন্তু দুর্গাপুজো কি আর বন্ধ করা যায়? কিন্তু দুর্গাপুজো মানেই তো শপিং, জমিয়ে আড্ডা, খাওয়া – দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং আরও কত কি। অনেকেই নিয়ম মেনে এসব করার প্ল্যানিং করলেও অনেকেই কিন্তু নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে আসছে বছর আবার হবে বলে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টও রায় দিয়ে দিয়েছে প্যান্ডেলে ভিড় করে প্রতিমা দর্শণ, সিঁদুর খেলা সবই এবছর স্থগিত। জনজাতির সুরক্ষার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।

কিন্তু পুজোয় বেরোবো না- এমন ধারণা অনেককেই মানসিকভাবে ভেঙে ফেলছে। তাই করোনাকে তোয়াক্কা না করেই মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। কিন্তু আনন্দের মাঝে করোনা পরিস্থিতিকে ভুলে গেলেও চলবে না। তাই জেনে নিন সংক্রমণ এড়িয়ে, নিজেকে সুস্থ রেখে কিভাবে পুজোয় আনন্দ করা যায় তার কয়েকটি নিয়মবিধি ঃ

এই সময় বাড়ির বাইরে বেরোনো মানেই মুখে মাস্ক ও সাথে স্যানিটাইজার। সাথে বেশ কিছু এক্সট্রা মাস্ক ও রাখুন। রাস্তায় কাজে লাগতে পারে। এছাড়াও হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস শিল্ড, শুকনো খাবার ও জল। প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধপত্র রাখতেও ভুলবেন না।

মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে এক পা- ও বেরোনো যাবে না। যতক্ষণ বাইরে অন্য মানুষের সংস্পর্শে থাকবেন মাস্ক মাস্ট। বারবার খোলা পড়া করা যাবে না। মাস্কে হাত দেওয়াও উচিত নয়।

বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। বাড়ির শুকনো খাবার ও জল সাথে রাখুন।

খাবার আগে বা মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত ভালো করে স্যানিটাইজ করে নিন। মাস্ক ও ফেস শিল্ড নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে খাবার খান। মাস্কের সামনের অংশ যেন শরীরের কোন অংশে না লাগে। কোন জায়গায় হাত দিলেই হাত স্যানিটাইজ করুন।

ভিড় জায়গা গুলি এড়িয়ে চলুন। সোস্যাল ডিস্টেন্স বজায় রেখে ঠাকুর দেখবেন।

শুধু রাস্তাতেই নয়, বাড়ি ফিরেও ভালো করে স্নান করে ঘরে ঢুকবেন। সাবান দিয়ে গরম জলে হাত পা মুখ ধুয়ে নেবেন ও পরনের পোশাকটিও অবশ্যই ধুয়ে ফেলবেন। পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ঘরের কোন জিনিস স্পর্শ করেন না, কোথাও বসবেন না। বাইরের জুতোটি অবশ্যই ধুয়ে দেবেন ও বাড়ির বাইরে খুলবেন।

এই কয়েকটি নিয়মবিধি মেনে চললে আপনার ও আপনার চারপাশের সকলেরই উৎসব হয়ে উঠবে রঙিন। সকলেই আনন্দের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, এই মহামারি পরিস্থিতিতে একজনের গাফিলতি অন্য অনেক মানুষের জীবনহানি ঘটাতে পারে।

Leave a Comment