রাশিয়ার পরে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও শুরু হলো করোনার টিকা কে ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ। বস্তুত তৃতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়াল এখনো চলছে, কিন্তু তার মধ্যেই হোয়াইট হাউস থেকে সমস্ত রাজ্যগুলোকে এই নির্দেশ নামা পাঠিয়েছে কতৃপক্ষ। পয়লা নভেম্বর এর মধ্যেই করোনার টিকা জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলোকে। বন্টনের প্রক্রিয়াকরণের জন্য ডালাসের একটি সংস্থা ম্যাককেসন কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই আমেরিকার ” ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” – এর প্রধান স্টিফেন হ্যান, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষের আগেই করোনা ভ্যাকসিন কে বাজারে আনার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর পক্ষ থেকে সমস্ত রাজ্য গুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল এবং সেই চিঠিতে রাজ্যের গভর্নর দের কাছে এটা আবেদন করা হয় যে একটি সাধারন ভ্যাকসিন কে অনুমোদন দিতে যেই সময় লাগে, করোনার ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে একে ত্বরান্বিত করা না গেলে এহেন অবস্থায় এটি জনস্বাস্থ্য প্রকল্পের সাফল্যর জন্য বাধা হয়ে উঠবে। চিঠিতে আরও বলা হয় যে “ভ্যাকসিন বিতরণ কেন্দ্রের আবেদন আরো দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন আপনাদের থেকে সাহায্য কামনা করে”। ইতিমধ্যেই বিতরণ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনার রুপরেখা বেশকিছু রাজ্যকে পাঠানো হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা, ভ্যাকসিন ত্বরান্বিত করার এই পদ্ধতির সাথে এখনো একমত নন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামনে ভোট তাই ট্রাম্প প্রশাসন চাইছেন যে করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে ভোটের আগে দেশে জনমত তৈরি করার। বিশেষজ্ঞদের মতে এহেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনোভাব করোনার ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার অনুমোদনের জন্য সঠিক নয়, তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল সফলের আগেই দেশবাসীর জন্য এই ভাসাসিনকে উন্মুক্ত করে দিলে এর বিরূপ ফল হতে পারে।