দেশে দৈনিক আক্রান্ত ছাড়াল ৬৫ হাজার, সুস্থতার হার ৭৬%
নিজস্ব প্রতিবেদন, দেশে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্ত ছাড়াল ৬৫ হাজার। দিও গতকাল দৈনিক আক্রান্ত ও দৈনিক সুস্থতার সংখ্যার পার্থক্য খুব বেশি ছিল না। আর তাই সক্রিয় রোগীর সংখ্যাতেও খুব বেশি হেরফের চোখে পড়েনি। দৈনিক আক্রান্ত ৬৭,১৫১। সুস্থ হয়েছে ৬৩হাজার বেশি মানুষ। পরশুদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা ছিল। গোটা বিশ্বের সংক্রমণ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। গত দু’সপ্তাহে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লক্ষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী সারা দেশে শেষ চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৭,১৫১। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬৩ হাজার মানুষ। যা আগের দিনের থেকে সামান্য কম।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুসারে ২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৭৪ জন। এই মুহূর্তে সারা দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ০৭ হাজার ২৬৭।তবু আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তারা মনে করিয়ে দিয়েছে, ভারতে সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে এখন ৭৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। কমেছে মৃত্যুর হার।
ভারতের মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্যে করোনা প্রভাব সবচেয়ে বেশি। ৯০ শতাংশ সংক্রমণের খবর এইসব রাজ্যগুলো থেকেই আসছে।ইতিমধ্যেই দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৬ লক্ষে মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে প্রায় ৮ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হয়েছে। যা বিগত কয়েকদিনের তুলনায় অনেকটাই কম।সংক্রমণের নিরিখে এখনও বিশ্বে তৃতীয় স্থানে আছে ভারত। উপরে শুধুমাত্র আমেরিকা এবং ব্রাজিল। এর মধ্যে ব্রাজিলের তুলনায় ভারতের সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও বেশি।
এ দিকে, মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে করোনা আয়ত্তে আসবে। যদিও সোমবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতির ইঙ্গিত মিলেছে। সোমবারই একদিনে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে তিন হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। মঙ্গলবারও তা বজায় রয়েছে। উলটোদিকে, ৩ হাজার ২০০ জনের বেশি ব্যক্তি করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। অর্থাৎ পরপর দুদিন রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি। যা রীতিমতো আশাব্যঞ্জক।