আমেরিকায় ওরেগন, ওয়াশিংটন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দাবানল এখনো অব্যাহত। এখনো পর্যন্ত মোট মারা গিয়েছেন ৩১ জন, যার মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ারই 22 জন। দাবানলের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। তবে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ, তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এদিকে বাতাসে বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়াও কষ্টকর হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। জানলা দরজার ভেজা তোয়ালে আটকে বাইরের বিষাক্ত ধোঁয়া ঘরে প্রবেশের থেকে আটকানো হচ্ছে।
শহরগুলি মিলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ওরেগানের গভর্নর কেট ব্রাউন জানান যে আরও পাঁচ লক্ষ মানুষকে ঘর ছেড়ে কোন আশ্রয় শিবিরে সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আগামীকাল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ক্যালিফোর্নিয়া যাবেন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। গত দুদিনে দাবানলের সংখ্যা চার থেকে বেড়ে ২৮ টি হয়েছে। ৪৩৭৫ বর্গমাইল এলাকা এখনো জ্বলছে এবং দমকলের প্রায় হাজার কর্মী নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই আগুন নেভাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উদ্ধারকারী দল গুলো জানিয়েছে যে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ হঠাৎ করে বাড়ায় এখন আগুন নেভাতে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন বলেন যেই ভয়াবহ দাবানল এর জন্য বিশ্বের উষ্ণায়নই দায়ী এবং এই উষ্ণায়নকে যদি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনা হয় তাহলে দেশের পশ্চিমাংশের মতন গোটা দেশ জ্বলতে বেশিদিন সময় লাগবে না। তিনি বলেন ” যা করার এখনই করতে হবে না হলে গোটা দেশের লোকই একসময় পথে এসে দাঁড়াবে”।