ডিসেম্বর মাস থেকে গণবন্টন বন্ধ, আন্দোলনে নামছেন রাজ্যের রেশন ডিলাররা
নিজস্ব প্রতিবেদন, রেশন দুর্নীতির অভিযোগ বহুদিন ধরেই চলে আসছে। লকডাউনের শুরু থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় রেশন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এর ফলে বেশ কয়েকজন রেশন ডিলার অভিযুক্ত হয়েছেন, তাদের লাইসেন্স ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনও রেশন মালিকেরা গণবন্টন ব্যবস্থার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এদিকে রেশন মালিকেরা তাদের প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার জন্য অভিযোগ করেছেন।
তাদের দাবি, করোনা মহামারী চলাকালীন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে বিনা মূল্যে রেশন দেওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছিল।সেই ব্যবস্থা এখনও বহাল। রেশন ডিলারদের দাবী প্রতি কুইন্টালে তারা কমিশন হিসাবে পায় ৭০ টাকা।তাদের আরও দাবি, আইনত তাদের পাওয়া উচিৎ প্রতি কুইন্টাল ৮৭ টাকা।যা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম।এপ্রিল মাস থেকে সেই ৭০ টাকা কমিশন রেশন ডিলাররা আর পাচ্ছেন না।সেই সময় সরকার কথা দিয়েছিল,তাদের কমিশনের বিষয়টি দেখে নেবে।এপর্যন্ত রেশন ডিলাররা বহুবার দরবার করে, কোনো আশানুরূপ ফল পায়নি।
অল বেঙ্গল রেশন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন রেশন ডিলারদের হয়ে সরকারের কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন। অল বেঙ্গল রেশন বাঁচাও যৌথ মঞ্চের মাধ্যমে তাঁরা রাজ্যজুড়ে পুজোর আগে থেকেই তাঁদের কমিশন বৃদ্ধির দাবি তুলে আন্দোলনে মানবেন। সরকার সেই দাবি মেনে নিলে ভালো নাহলে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটে যাবেন।
আপাতত ঠিক হয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে, রেশন ডিলাররা অল বেঙ্গল রেশন বাঁচাও যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে বিডিওকে ডেপুটেশন জমা দেবে। ১২ অক্টোবর প্রতিটি রেশনের অফিসের সামনে তাঁরা ধর্না দেবেন। ধর্না দেওয়া হহবে জেলা ও মহকুমা খাদ্য দফতরের সামনে, প্রতিটি এফসিআই গুদামের সামনেও। তাতেও কাজ না হলে, ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যের রেশন ডিলাররা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে ও রেশন গণ বণ্টন বন্ধ করে দেবেন।