ডাক্তার ও স্বাস্থকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদন, দেশবাসীর সুরক্ষায় যাঁরা দিন-রাত ঝুঁকি নিচ্ছেন, তাঁদের উপর এবার ক্রমশ বাড়ছে করোনা প্রকোপ। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বহু চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মী। ক্রমশ সেই আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। মারাও গিয়েছেন অনেকে।মানুষের সেবা করতে গিয়ে আবার কখনও পরিকাঠামোর অভাবে প্রায়ই নিজেদের সঠিক খেয়াল রাখতে পারছেন না। ফলে নিজেরাই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।এবার তাঁদের জন্য উন্নত পরিকাঠামো চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন ইন্ডিয়ান মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)।
গত সপ্তাহে, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে তথ্য জোগাড় করেছে স্বাস্থ্যন্ত্রক। এরপরেই প্রত্যেক রাজ্যকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ডাক্তার ও স্বাস্থকর্মীদের উপর বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কারণ এই হারে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা আক্রান্ত হয়ে পড়লে বড় ধাক্কা খাবে চিকিত্সা ব্যবস্থা।রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে ইন্ডিয়ান মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৮৭ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫৭৩ জনের। চিঠিতে IMA-এর বক্তব্য, “স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ম্যানপাওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে একই ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো গ্রহণ করা অত্যন্ত আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। ডাক্তার এবং চিকিত্সাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক ফারাক দেখা গিয়েছে জেলায় জেলায়। তাঁদের প্রত্যেকের কাজের ধরন আলাদা। যার প্রধান কারণ জেলা ভিত্তিক প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব।”
২৮ অগস্ট পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে দেখা গিয়েছে, ৬টি রাজ্যের নাম যেখান থেকে মোট ৮৭,১৭৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৪ শতাংশ চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত। সেই ৬ রাজ্যের তালিকায় নাম রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাত। এই ৬ রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৮৬ শতাংশ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের।শনিবার রাজ্য ভিত্তিক সরকারি তথ্য প্রকাশ করেছিল টাইমস অফ ইন্ডিয়া। রিসার্চ করে দেখা গিয়েছে, “জেলাগুলি মেডিকাল ম্যানপাওয়ারের নিরাপত্তা, ক্লান্তি ও স্ট্রেস সম্পর্কে একেবারেই সচেতন নয়। কোনও কোয়ারানটিন পিরিয়ড না দিয়ে সাত দিন ২৪ ঘন্টা টানা কাজ করিয়ে যাওয়া, দীর্ঘক্ষণ পিপিই কিট পরে চিকিত্সা করে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।”