একরাশ ঘন চুল হলো মানবজাতিকে অহংকার। চুল আমাদের করে তোলে আআত্মবিশ্বাসী। কিন্তু লিভারের সমস্যা, আবহাওয়ার পরিবর্তন হোক বা পরিবেশ দূষণ, সবকিছুর খারাপ প্রভাবই কিন্তু পড়ছে চুলে। তাই এখন সব বয়সেই চুল পড়ার সমস্যাটি খুবই সাধারণ হয়ে গেছে। নারী পুরুষ সকলেই এখন এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। এর জন্য সবাই অনেক নামীদামী কোম্পানির তেল,শ্যাম্পু ও ব্যাবহার করছে। কিন্তু ফলাফল আশানুরূপ হচ্ছে না।
আজ বাতলে দেবো এমন এক ঘরোয়া টোটকা, যা দিয়ে হবে না আর বিউটি পার্লারের খরচা। ঘরে পিঁয়াজ তো সবার ই থাকে। এই পিঁয়াজ-ই রক্ষা করবে আপনার চুল। পেঁয়াজে ভিটামিন, মিনারেল, সালফার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি প্রচুর পরিমানে রয়েছে। সালফার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুল পড়া বন্ধ করে এবং অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এবার জেনে নিন পিঁয়াজ কে ব্যাবহার করবেন কিভাবে।
১. চুলের ক্ষেত্রে পিঁয়াজের রসের ভূমিকা অপরিসীম। এক চামচ পিঁয়াজের রসের সাথে এক চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন, এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে। চুল পড়বেও কম। কিছুক্ষণ পর কোন হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২. চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পিঁয়াজের রসের সাথে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখতে পারেন।
৩. এক চামচ পিঁয়াজের রসের সাথে এক চামচ আমলকির রস ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়া সহ পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। বেশ কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করুন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে। খুশকি থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
৪. বেশ কিছুটা পিঁয়াজের রসের সাথে দু চামচ নারকেল তেল ও মেথি ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে চুলে লাগানো উচিত। কিছুক্ষণ পর হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৫. সপ্তাহে যে কোন ৩ দিন পিঁয়াজের রস,নারকেল তেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলের গোড়া হবে মজবুত।
৬. পিঁয়াজের রসকে মধু দিয়ে মিশিয়ে চুলে লাগানো যায়।
৭. এছাড়া ঘরেই পিঁয়াজের তেলও বানিয়ে নিতে পারেন। তা মাথায় মালিশ করলে চুল হবে মজবুত, ঘনত্ব বাড়বে।
এই টিপস গুলি মেনে চলতে পারলে চুলের সমস্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু যদি অত্যাধিক চুল পড়ে বা চুল না গজায় তাহলে শরীরের আভ্যন্তরীণ কোন সমস্যার কথা মাথায় রাখতে হবে। হরমোনাল সমস্যার কারনেও চুলের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।