করোনা পজেটিভ কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতিন ঘোষ

করোনা পজেটিভ কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতিন ঘোষ

নিজস্ব প্রতিবেদন, এবার করোনা আক্রান্ত হলেন কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তিনি নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। সূত্রের খবর পুর দপ্তরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সংস্পর্শে এসেছিলে তিনি। যদিও তার মধ্যে উপসর্গ খুবই কম দেখা যাচ্ছে। তার স্ত্রীর মধ্যেও হালকা করোনা উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনেই হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন।

গত ১৯ তারিখ থেকেই জ্বর ছিল অতীন ঘোষের। এদিকে তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর কলকাতা পুরভবনে পৌঁছাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবারই অতীন ঘোষ পুরভবনে এসেছিলেন একটি বৈঠকে যোগ দিতে। পরে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ঘন্টা দেড়েক বৈঠকও করেন। তাই বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরভবন স্যানিটাইজড করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে ফিরহাদ হাকিম আইসোলেশনে যাচ্ছেন কিনা তা জানা যায়নি।

দীর্ঘ দিন ধরে অতীন ঘোষ কলকাতা পৌরনিগমে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) হিসেবে দায়িত্ব ভার সামলেছেন। ফিরহাদ হাকিম মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হলে পরে অতিন ডেপুটি মেয়রু স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব আগের মতো সামলাচ্ছিলেন। অতীনবাবু পথে নেমে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে করোনা মোকাবিলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আরটিপিসিআর টেস্ট করার পর তার করোনা ধরা পড়ে।

বৃহস্পতিবার অতীন ঘোষ এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, ‘‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রথম সারিতে থেকে করোনা মোকাবিলায় কাজ করেছি। গতকাল কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। লক্ষণ হালকা। আমি এবং আমার স্ত্রী নিজের বাড়িতেই আছি। সুস্থ বোধ করছি। কোয়রান্টিনের সময় শেষ হয়ে গেলে, কাজ করার অপেক্ষায় আছি।“ তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁদের সঙ্গে তিনি সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরও কোভিড-১৯ পরীক্ষা হবে।

এর আগে রাজ্যের ২ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সুজিত বসু করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে সুজিত বসু করোনামুক্ত হয়েছেন। করোনায় প্রান হারিয়েছেন তৃণমূলের সমরেশ দাস(এগরার বিধায়ক), স্বপন ঘোষ(পানিহাটি পুরসভার প্রশাসক) এবং তমোনাশ ঘোষ(ফলতার বিধায়ক)।

অন্যদিকে বুধবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,কলকাতাতে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের৷ মঙ্গলবার ছিল ১৬ জন৷ সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৩ জনে৷ যদিও সংখ্যাটা একসময় পৌঁছে গিয়েছিল ২২ জনে৷ তবে শুধু কলকাতাতেই এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১,২২২ জনের৷

Leave a Comment