শনিবার রাত্রে পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায় করাচিতে দাউদের ঘাঁটি সনাক্ত করেছে পাকিস্তান সরকার। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে, কিন্তু ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ইসলামাবাদ এই খবরকে বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে জানায় যে এই ভুয়ো খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
রবিবার সকালে রেডিও পাকিস্তানের একটি টুইটে জানানো হয় এই খবরটি ভুয়ো এবং তারা উদ্ধৃতি করে পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের একটি টুইট যাতে জানানো হয়েছে যে ” গত ১৮ই অগাস্ট পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রক রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় বর্তমান বেশ কিছু নিষিদ্ধ জাইস, লস্কর এবং আলকায়দার উগ্রপন্থীদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করে। এটি একটি রুটিন কার্যকলাপ এবং ২০১৯এ ও এটি করা হয়েছিল”।
পাক বিদেশমন্ত্রক ওই বিবৃতিতে আরও জানায় যে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে যে এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকার নতুন ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে কিন্তু এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের নামে বলা হয়েছে ” বিবৃতিটি দেখে অনেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করছে যে পাকিস্তান নাকি মেনে নিয়েছে যে দাউদ ইব্রাহিম সে দেশে থাকে যা একটি বিভ্রান্তিমুলক খবর এবং সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন”
তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় দাউদের নাম না থাকলেও করাচি এবং নুরবাগ এ তার বাড়ির ঠিকানা কোত্থেকে এলো তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা ইসলামাবাদের তরফে দেওয়া হয়নি।
১৯৯৩ মুম্বাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে দাউদ এর নাম উঠে এসেছিল বারবার এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার দাউদ এর ঠিকানা এবং বিস্ফোরণে দাউদের হাত থাকার সমস্ত প্রমাণপত্র পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিল। নিউ দিল্লি বারবার বলে এসেছে দাউদ ইব্রাহিম, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর মদতপুষ্ট। যদিও পাকিস্তান তা বারবার অস্বীকার করে এসেছে।
ইতিমধ্যেই ফিনান্সিয়াল টাস্কফোর্স ওরফে এফএটিএফ পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করেছে। জঙ্গীসংগঠনের কার্যকলাপ রুখতে পাকিস্তান যে বারবার বিফল হয়েছে সেটাও কারোর অজানা নয়, উল্টে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সে দেশের সরকার বারংবার উগ্রবাদীদের মদত দিয়ে এসেছে।