মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলে এসেছেন যে তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য এবং প্রমাণ আছে যা দর্শায় যে উহানের সরকারি ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। আমেরিকার গোয়েন্দা দপ্তরগুলিও এটি নিয়ে বারবার বিভিন্ন মতামত দিয়ে এসেছে তবে এবারে একজন চীনের ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ান ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই কথার সমর্থন করে বলেন যে নভেল করোনাভাইরাস উহান এর একটি সরকারি ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে এবং এইনিয়ে তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তিনি দাবি করেন যে তিনি ভয়ে পালিয়ে এসে আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ টিভি চ্যানেলকে গোপন জায়গা থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
এক সময় মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেছিল যে নোবেল করোনাভাইরাস নিয়ে উহানের স্থানীয় প্রশাসন যথাসময়ে সতর্ক করে নি বেইজিংকে, তাই এই ভাইরাস সংক্রমণের জন্য উহানের স্থানীয় প্রশাসন একটু বেশি পরিমাণে দায়ী। কিন্তু ইয়ানের দাবি অনুযায়ী ” ভাইরাসটি প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট নয়, আমি এই ভাইরাস নিয়ে রিসার্চ করার সময় এটা বুঝেছি, বাদুর বা ঐ জাতীয় প্রাণীর কোন ভাইরাল স্ট্রেনকে রাসায়নিকভাবে আরো শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে যাতে এই ভাইরাস গুলি বিভাজনে আরো বেশি ভাবে সক্ষম হয়”। তিনি আরো দাবি করেন যে গোড়ার দিকে নাকি করোনা কে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতন কোন ভাইরাস বাহিত রোগ বলে চাপার চেষ্টা করেছিল চীন সরকার।
ইয়ান জানান যে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে বারবার বলে এসেছেন যে চীন সরকারের পক্ষ থেকে তার পিছনে গুন্ডা লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার তার কম্পিউটার হ্যাক করা হয়, তার গবেষণা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়, প্রাণনাশের হুমকি এমনকি তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। ব্রিটিশ চ্যানেলটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে গত ডিসেম্বর মাসে উহান শহরে ” নতুন নিউমোনিয়া” এবং এক অজানা ভাইরাসের খবর পেয়ে তিনি রিসার্চ করা শুরু করেন এবং অচিরেই বুঝতে পারেন যে এই ভাইরাস অনেক বেশি সংক্রামক এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল। তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে সচেতন করলে তাকে তার মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয় এবং সরকারিভাবেও এ ব্যাপারে প্রচুর পরিমাণে চাপ আসতে থাকে। শেষে খুনের হুমকি আসা শুরু হলে ভয়ে আমেরিকা পালিয়ে আসতে বাধ্য হন হন ইয়ান।