বাঙালির উইকেন্ড মানেই তো ট্রাভেলিং। চলুন না, আজ চেনা জায়গা থেকে একটু দূরেই ঘুরে আসি। কলকাতা থেকে মাত্র ১২০ কিমি, বাঙালির মনের প্রানের স্থান শান্তিনিকেতন। মুখ্য উদ্দেশ্য রবি ঠাকুর হলেও প্রাকৃতিক পরিবেশ, বসন্ত উৎসব, মুগ্ধ করা সবুজে ঘেরা জায়গাটার হয়তো আলাদাই কিছু মাহাত্ম্য আছে যার টানে সারা পৃথিবী ব্যাপি মানুষের সমাগম ঘটে প্রতিদিন।
আজ শান্তিনিকেতন না, বোলপুর থেকে ১০ কিমি এগিয়ে কোপাই নদীর তীরে রয়েছে ৫১ সতীপীঠের এক মহা পীঠ কংকালীতলা। ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্য অনুসারে জানা যায় এখানে সতী মা-এর কোমরের অস্থি অর্থাৎ কাঁখ পড়েছিলো যা মন্দির সংলগ্ন কুন্ড তেই সর্বদা নিমজ্জিত থাকে। এই কুন্ডের জল কখনো শুকায় না। সতীর এই রূপের নাম ‘দেবীগর্ভা’। এই নামেই দেবীর পূজা হয়। আগে খোলা বেদিতে পূজা হলেও এখন মন্দির স্থাপন হয়েছে ও সংলগ্ন এলাকায় শিব মন্দির, শ্মশান, ভোগ-গৃহ ও কুন্ড টি রয়েছে। কুন্ডের জল চরনামৃত হিসাবে ব্যবহৃত হয়। লোকমতে প্রচলিত আছে, কাশীর মনিকর্নিকা ঘাটের সাথে নাকি এই কুন্ডের সরাসরি যোগসূত্র আছে।
কিন্তু এই মন্দিরে কোন মূর্তি পূজা হয় না। ইতিহাস বলে যতোবারই মূর্তি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে তা কখনো সম্পন্ন হয়নি। কোমরের ওপরের অংশের পর কোনবারই তা নির্মাণ করা সম্ভব হয় নি। কংকালিতলার দেবীগর্ভার ভৈরব হলেন রুরু। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্ত দের আগমন হয় এই পীঠে। তাছাড়া ভক্তদের ঢল তো আছেই। মায়ের এই পুন্যস্থানে নিজের শান্তির উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝে ঘুরে যেতেই পারেন এই মহাপীঠে।