পঞ্চম দফার আনলক প্রক্রিয়ায় ১৫ই অক্টোবর থেকে খুলছে সিনেমা হল। কোভিড আবহে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিতে অবশেষে খুলল সিনেমা হল গুলি। তবে সিনেমা হলে গিয়ে মনোরঞ্জন করতে হলে মানতে হবে একগুচ্ছ নিয়ম।
প্রায় দীর্ঘ সাত মাস পর দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে খুলছে সিনেমা হল গুলি। পশ্চিম্বঙ্গে অবশ্য কিছু সিঙ্গল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্স খুলছে আপাতত। যদিও পুজোর আগে অবস্থা বিবেচনা করে আরও কিছু হল খুলতে পারে। এদিকে সিনেমা হলের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করতে পারবে কতৃপক্ষ। কারণ সোসাল ডিস্টেন্স বজায় রেখে সিট গুলি সাজানো হচ্ছে। তাই মালিকদের কপালে ভাঁজ কারণ এতে লাভের অংশ তো দেখাই যাবে না। তবে টিকিটের দাম বাড়ালে এই মহামারিতে কজন দর্শক’ই বা আসবে হলে তা নিয়েও সংশয় দেখা দিচ্ছে। তবে সরকার ছাড়পত্র দিলেও কলকাতায় শতকরা ৮০ শতাংশ সিনেমা হলই বন্ধ থাকছে। বড় মাল্টিপ্লেক্সগুলো এখনই খুলছে না। হাতে গোনা কয়েকটি হলে সিনেমা দেখানো হবে, তাও নির্দিষ্ট কয়েকটি শোতে।
বুধবার বিকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হল মালিক ও জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ এবং সিনেমা হলের আসন সংখ্যা কমপক্ষে অর্ধেক খালি রাখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে সারাদেশের সিনেমা হল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।’হল খুললেও সিনেমার সংকট কাটছে না সহসাই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ মুহূর্তে সিনেমা মুক্তিতে আগ্রহ নেই প্রযোজক-পরিচালকদের। অনেকেই মনে করছে করোনার ভয় এখনো কাটেনি মানুষের মন থেকে। এমন সময় হল খুললেও দর্শক আসবে না। তাই বড় বাজেটের ছবিগুলো নিজেদের সরিয়ে রাখতে চাইছে ঝুঁকিপূর্ণ এ সময়।
সিনেমা হলে যাওয়ার আগে একনজরে দেখে নিন নির্দেশ গুলি ঃ –
১. বসার সিট অনুযায়ী তার অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ শতাংশ দর্শক ই ঢুকতে পারবে হলে।
২. ফাঁকা সিট গুলি সিল করা থাকবে।
৩. হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মুখের মাস্ক বাধ্যতামূলক।
৪. দেহের তাপমাত্রা মাপার ব্যাবস্থা হলে রাখতে হবে। কোন উপসর্গ যুক্ত ব্যাক্তির প্রবেশ নিষেধ।
৫. টিকিটের পেমেন্ট ডিজিটাল হওয়াই কাম্য।
৬. নিয়মিত হল গুলি স্যানিটাইজ করতে হবে।
৭. হলের কর্মীদের মাস্ক, পিপিই বাধ্যতামূলক।
৮. বিরতির সময় ব্যাক্তিদের অবাধ চলাচল বন্ধ রাখতে হবে
৯. হলের ভিতর প্যাকেটজাত খাবারের অনুমতি মিলবে।
১০. সকলের মোবাইল অ্যাপে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকাও জরুরি।