তবে কি সত্যিই ঘটলো অপেক্ষার অবসান। হ্যাঁ, করোনা মহামারি চলাকালীনই এই প্রথম শীতকালেই পর্যটকদের প্রবেশদ্বার খুলে দিচ্ছে কাশ্মীর রাজ্য। লকডাউন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে দার্জিলিং, সিকিমের প্রবেশপথ। সকলের আশা পর্যটকের আগমনে আবারও স্বাভাবিক হবে কাশ্মীর। বিধি মেনেই প্রবেশপথ খুলছে কাশ্মীরের।
বেশিরভাগ ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির প্রথম পছন্দ কাশ্মীর। ‘নিউ নর্মালে’ পর্যটন দফতর ব্যাবস্থা করছে বাঙালির কাশ্মীর যাত্রার। বিধি মেনেই ঘোরা যাবে শ্রীনগর, গুলমার্গ, সোনমার্গ, পহেলগাঁও। তার সাথে অচেনা পাহাড়ের স্বাদও পেতে পারেন। যেতে পারবেন শ্রীনগর থেকে ৪৫ কিমি দূরে ইউসমার্গে। করতে পারবেন হর্স রাইড। পাইন জঙ্গলে ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ মন্দ হবে না। এছাড়াও যেতে পারেন দুধপাতরি, গুরেজ, কোকেরাং, বেঙ্গিস ভ্যালি, টোডা ময়দান। কাশ্মীর পর্যটনের উপধিকর্তা বলছেন, ‘পর্যটক রা এই নিরিবিলি আনকোরা স্থানে নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে পারবে।’
কাশ্মীরের পর্যটন দপ্তরের ফিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর যে তিনটি রাজ্য থেকে বেশি ভিড় হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো পশ্চিমবঙ্গ। অপর দুটি রাজ্য হলো গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। কাশ্মীরের হোটেল ও রেস্তোরাঁ ফেডারেশনের সভাপতি বলেন সকল নিয়মবিধি মেনেই ৫০ শতাংশ হোটেল খোলা হয়েছে।
পর্যটকদের পা কবে পড়বে সেই নিয়ে সকলেই উৎসুক। সককের আশা অর্থনৈতিক মন্দারও অবসান ঘটবে। বিমানবন্দরে নেমেই অ্যান্টিজেন টেস্ট হবে, রিপোর্ট মিলবেই তৎক্ষনাৎ। উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ ব্যাক্তিকে পাঠানো হবে না কোয়ারেন্টাইনে বরং হোটেলে রুমে থেকেই উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ি সৌন্দর্য্য।